গুপ্তিপাড়ার বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রধান ও বিখ্যাত উৎসব হল দোল ও রথযাত্রা। ৪০০ বছরের প্রাচীন বৃন্দাবনচন্দ্রের রথযাত্রা শুরু হয় রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময়ে। বৃন্দাবন মঠের সামনে থেকে বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ এক মাইল পথের দু’ ধারে মেলা বসে। উল্টোরথের আগের দিন ‘ভাণ্ডারলুট’ উৎসব ধুমধামের সাথে পালিত হয় এখানে। প্রথা অনুযায়ী ভোগ নিবেদন করার পর ভক্তরা ভোগ লুট করে নেন। বাংলার ঐতিহ্যশালী ও বড় রথগুলির মধ্যে গুপ্তিপাড়ার রথ অন্যতম। পূর্বভারতের নানা অঞ্চল থেকে রথের রশি টানার জন্যে মানুষ আসেন। গুপ্তিপাড়ায় রথযাত্রার সুত্রপাত। কৃষ্ণনগর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ভবানন্দ মজুমদারের বংশধর ও নদীয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় (১৭১০-১৭৮৩) এর সময়াকালে প্রতিষ্ঠিত ও ভারতবর্ষে কয়েকশো বছরের প্রাচীন রথগুলোর মধ্যে গুপ্তিপাড়ার রথ ভারতবর্ষে চতুর্থ প্রাচীন রথ রূপে পরিগণিত হয়। ওড়িশার পুরী, শ্রীরামপুরের মাহেশ ও মেদিনীপুরের মহিষাদলের পর গুপ্তিপাড়ার রথ আনুমানিক ১৭৪৫ খ্রীষ্টাব্দে প্রবর্তিত হয়।
এই ব্লগটিতে আপনি পেয়ে যাবেন গুপ্তিপাড়া সম্বন্ধিত বিভিন্ন তথ্য ও এর সাথে থাকছে আরো দরকারি দরকারি অনেক তথ্য।।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
-
#গুপ্তিপাড়া GuptiPara, Hooghly নদিয়া, বর্ধমান ও হুগলি – এই তিন জেলার সম্মিলিত কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত গুপ্তিপাড়া। গুপ্তিপাড়া, পশ্চিমবঙ...
-
গুপ্তিপাড়ার রথ পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দীর্ঘতম বা সর্বাপেক্ষা উচ্চতা বিশিষ্ট। ওড়িশার পুরীর মন্দিরের রথ সমগ্র ভারতবর্ষে অন্যান্য রথের তুলনায...
-
গুপ্তিপাড়ার কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ‘সেন রাজা’দের বাড়ির দুর্গাপূজায় অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ও এঁদের মধ্যে ১২ জন একত্রিত হয...
No comments:
Post a Comment