এই ব্লগটিতে আপনি পেয়ে যাবেন গুপ্তিপাড়া সম্বন্ধিত বিভিন্ন তথ্য ও এর সাথে থাকছে আরো দরকারি দরকারি অনেক তথ্য।।
Monday, 3 February 2020
Thursday, 13 June 2019
Guptipara Basanta Utsav
![]() |
Guptipara Bosonto Utsab 2019 |
Guptipara Bosonto Utsab 2019
Guptipara basanta utsav is a one day program that held on guptipara Hooghly. This program is organised by the members of ebar guptipara community.They start this program from the year 2019.
![]() |
Members of ebar guptipara community at bosonto utsav |
![]() |
Guptipara basanta utsav rally |
on the basanta Utsav program through the road show the cover the whole guptipara through out there rally.at the end they finish there rally at the same place from where they had started.After complete rally they distribute tiffin for everyone who participate in this rally with them.
Monday, 4 February 2019
গুপ্তিপাড়ার বৃন্দাবন চন্দ্রের মন্দির।।
বৃন্দাবনচন্দ্রের মন্দিরটির উচ্চতা ১৮ মিটার বা ৬০ ফুট। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা সাত (৭) দিন মাসীর বাড়ি থাকার পর উল্টোরথের প্রাক্কালে অর্থাৎ বৃন্দাবনচন্দ্রের মন্দিরে ফেরার ঠিক পূর্ব দিন মাসীর বাড়িতে ‘ভাণ্ডারলুট’ উৎসব খুব ধুমধাম সহকারে পালিত হয়। বৃন্দাবনচন্দ্রের মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিতর ও বারান্দার পশ্চাৎ-এর অংশ অনুকরণীয় অলংকরণের দ্বারা সমৃদ্ধ। উপযুক্ত সংস্কারের অভাবে বৃন্দাবনচন্দ্রের মন্দিরের গায়ের নকশা জীর্ণ যদিও, ‘মঠ’ ভারতের ‘পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ’এর নজরদারির আওতাধীন।
গুপ্তিপাড়ায় বারোয়ারি পূজার প্রচলন।।
গুপ্তিপাড়ার কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ‘সেন রাজা’দের বাড়ির দুর্গাপূজায় অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ও এঁদের মধ্যে ১২ জন একত্রিত হয়ে একটি সংগঠন তৈরি করে ১৭৬১ খ্রীষ্টাব্দ (মতান্তরে ১৭৯০ খ্রীষ্টাব্দ) থেকে বাংলা দেশের মধ্যে প্রথম ‘বারোয়ারি দুর্গাপূজা’র প্রচলন ঘটান – এই কথাও প্রচলিত। বারো (১২) জন বন্ধু বা ইয়ারের সংগঠন বলে ‘বারোয়ারি’ পুজো। সঠিক প্রমাণ না থাকলেও অন্যান্য প্রামাণিক তথ্যাবলী থেকে বলা যায় যে ১৯১০ খ্রীষ্টাব্দে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর অঞ্চলে বলরাম বসু ঘাট রোডের ‘সনাতন ধর্মোৎসাহিনী সভা’র উদ্যোগে আয়োজিত পুজোই কলকাতার প্রথম বারোয়ারি দুর্গাপুজো।
গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা।।
গুপ্তিপাড়ার রথ পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দীর্ঘতম বা সর্বাপেক্ষা উচ্চতা বিশিষ্ট। ওড়িশার পুরীর মন্দিরের রথ সমগ্র ভারতবর্ষে অন্যান্য রথের তুলনায় সর্বাধিক দূরত্ব অতিক্রম করে। দ্বিতীয় দীর্ঘতম দূরত্ব (প্রায় ২ কিলোমিটার) অতিক্রম করে পশ্চিমবঙ্গের গুপ্তিপাড়ার রথ। উনবিংশ শতকের প্রারম্ভে নির্মিত বৃন্দাবনচন্দ্রের মন্দির থেকে গুপ্তিপাড়ার রথ প্রতি বছর রথযাত্রার দিন গুপ্তিপাড়ার বড়বাজারে শ্রী গোপাল মন্দিরের উদ্দেশ্য, শুভ যাত্রার সূচনা করে। এই রথের চারটি রশি বা দড়ি’র একটি পিছনে থাকে ও রথ’এর ‘ব্রেক’ রূপে কাজ করে; একটি রশি কেবলমাত্র মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি দুটি রশি’র সাহায্যে রথ সম্মুখভাগে পরিচালিত করা হয়। এখানে সোজা রথের দিন গঙ্গা তীরবর্তী মন্দির থেকে রথে চেপে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা ‘গুণ্ডিচা-ঘর’এ আসেন। রথযাত্রা উপলক্ষে গুপ্তিপাড়ায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়; বসে বিরাট মেলা।
গুপ্তিপাড়ার দোল ও রথযাত্রা।
গুপ্তিপাড়ার বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রধান ও বিখ্যাত উৎসব হল দোল ও রথযাত্রা। ৪০০ বছরের প্রাচীন বৃন্দাবনচন্দ্রের রথযাত্রা শুরু হয় রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময়ে। বৃন্দাবন মঠের সামনে থেকে বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ এক মাইল পথের দু’ ধারে মেলা বসে। উল্টোরথের আগের দিন ‘ভাণ্ডারলুট’ উৎসব ধুমধামের সাথে পালিত হয় এখানে। প্রথা অনুযায়ী ভোগ নিবেদন করার পর ভক্তরা ভোগ লুট করে নেন। বাংলার ঐতিহ্যশালী ও বড় রথগুলির মধ্যে গুপ্তিপাড়ার রথ অন্যতম। পূর্বভারতের নানা অঞ্চল থেকে রথের রশি টানার জন্যে মানুষ আসেন। গুপ্তিপাড়ায় রথযাত্রার সুত্রপাত। কৃষ্ণনগর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ভবানন্দ মজুমদারের বংশধর ও নদীয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় (১৭১০-১৭৮৩) এর সময়াকালে প্রতিষ্ঠিত ও ভারতবর্ষে কয়েকশো বছরের প্রাচীন রথগুলোর মধ্যে গুপ্তিপাড়ার রথ ভারতবর্ষে চতুর্থ প্রাচীন রথ রূপে পরিগণিত হয়। ওড়িশার পুরী, শ্রীরামপুরের মাহেশ ও মেদিনীপুরের মহিষাদলের পর গুপ্তিপাড়ার রথ আনুমানিক ১৭৪৫ খ্রীষ্টাব্দে প্রবর্তিত হয়।
গুপ্তিপাড়া শিক্ষা ও সংস্কৃতি।।
একসময় সংস্কৃত ভাষা ও সংস্কৃত ভাষায় রচিত বিভিন্ন বিষয়ে গভীর জ্ঞান চর্চা ও তন্ত্র সাধনার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ছিল গুপ্তিপাড়া। ইংরেজ শাসনের সময় সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা ও চর্চা এক অত্যুচ্চ মর্যাদা বিশিষ্ট আসন লাভ করে। সমগ্র বঙ্গভূমি, অর্থাৎ বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন স্থান হয়ে ওঠে সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা ও চর্চার মাধ্যমে জ্ঞান চর্চা ও আহরণের অন্যতম পীঠস্থান। এই সব অঞ্চলের মধ্যে ব্যাকরণ, স্মৃতি, ন্যায় প্রভৃতি বিষয়ে চর্চার প্রধানতম কেন্দ্র রূপে স্থান লাভ করে নদীয়া জেলার নবদ্বীপ। নবদ্বীপ ব্যতীত চব্বিশ পরগণার ভাটপাড়া বা ভট্টপল্লী, হুগলী জেলার গুপ্তিপাড়া ও ত্রিবেণী, বর্ধমান, হাওড়া জেলার বালি, বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর এবং পূর্ববঙ্গের বিক্রমপুর, চট্টগ্রাম, কোটালিপাড়া, সিলেট সহ বহু অঞ্চলে অসংখ্য টোল বা সংস্কৃত চতুষ্পাঠী স্থাপিত হয় এবং উন্নততর জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র রূপে খ্যাতি লাভ করে।
Subscribe to:
Posts (Atom)
-
#গুপ্তিপাড়া GuptiPara, Hooghly নদিয়া, বর্ধমান ও হুগলি – এই তিন জেলার সম্মিলিত কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত গুপ্তিপাড়া। গুপ্তিপাড়া, পশ্চিমবঙ...
-
গুপ্তিপাড়ার রথ পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দীর্ঘতম বা সর্বাপেক্ষা উচ্চতা বিশিষ্ট। ওড়িশার পুরীর মন্দিরের রথ সমগ্র ভারতবর্ষে অন্যান্য রথের তুলনায...